‘রিফাতের আত্মা এখন শান্তি পাইব’ 


নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: জুলাই ২, ২০১৯, ০৯:৫৯ এএম
‘রিফাতের আত্মা এখন শান্তি পাইব’ 

দেশব্যাপী আলোচিত বরগুনার রিফাত শরীফ হত্যাকাণ্ডের মূলহোতা নয়ন বন্ড পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে মৃত্যুর খবর শুনে সন্তুষ্ট প্রকাশ করেছে রিফাতের পরিবার। 

রিফাতের বাবা দুলাল শরীফ বলেন, শুনেছি পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে সন্ত্রাসী ও আমার ছেলের হত্যাকারী নয়ন বন্ড নিহত হয়েছে। আজ নিশ্চয়ই আমার ছেলের আত্মা শান্তি পাইব। নয়ন বন্ডের এই পরিণতিতে আমর পরিবারের সবাই খুশি। ছেলে হারানো বেদনার মাঝে এই খবর আমাদের মাঝে কিছুটা হলেও সন্তুষ্টি এনে দিয়েছে।

তিনি আরো বলেন, আমরা চাই নয়ন বন্ডের যেমন করে বিচার হয়েছে, তেমনি দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি বাকি খুনিদেরও যেন হয়। এছাড়া এ ঘটনায় পরোক্ষ ও প্রত্যক্ষভাবে যারা জড়িত তারা সবাইকে যেন আইনের আওতায় আনা হয় এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা যেন সরকার করে। তাহলেই রিফাতের আত্মা পরিপূর্ণভাবে শান্তি পাবে।

এছাড়াও রিফাতের মা ডেইজি বেগম প্রতিক্রিয়ায় বলেন, আমার ছেলেকে যেভাবে কষ্ট দিয়ে মারা হয়েছে, খুনিদেরও যেন এভাবে বিচার করা হয়। নয়ন বন্ড মারা গেছে, এখবরে আমার রিফাত একটু হলেও শান্তি পাইব। আমার ছেলের হত্যাকারী সকলের বিচার চাই। এভাবে যেন আর কোনো মায়ের বুক সন্ত্রাসীরা খালি না করে। সরকার তাদের কঠিন বিচার করুক ।

প্রসঙ্গত, গত বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে স্ত্রী আয়েশাকে বরগুনা সরকারি কলেজে নিয়ে যান রিফাত। কলেজ থেকে ফেরার পথে মূল ফটকে নয়ন, রিফাত ফরাজীসহ দুই যুবক রিফাত শরীফের ওপর হামলা চালায়।  এ সময় ধারালো অস্ত্র দিয়ে রিফাত শরীফকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে তারা। রিফাত শরীফের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি তার স্বামীকে রক্ষার জন্য প্রাণপণ চেষ্টা চালান। কিন্তু সন্ত্রাসীরা রিফাতকে উপর্যুপরি কুপিয়ে গুরুতর জখম করে পালিয়ে যায়। বিকেল তিনটার দিকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রিফাতের মৃত্যু হয়। জনবহুল এলাকায় এমন নৃশংস হামলার ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়লে সারা দেশে বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভের ঝড় ওঠে।

পরদিন বৃহস্পতিবার সকালে নিহত রিফাতের বাবা বরগুনা সদরের বড় লবণগোলার বাসিন্দা আবদুল হালিম শরীফ বাদী হয়ে বরগুনা সদর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলায় বরগুনা শহরে চিহ্নিত সন্ত্রাসী সাব্বির আহম্মেদ ওরফে নয়ন বন্ড এবং তার সহযোগী রিফাত ফরাজী ও তার ছোট ভাই রিশান ফরাজীসহ ১২ জনকে আসামি এবং আরও চার থেকে পাঁচজনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়।

এদিকে, মামলার প্রধান আসামি নয়ন বন্ড বন্দুকযুদ্ধে নিহত হলেও প্রধান অপর দুই আসামি রিফাত ফরাজী ও তার ছোট ভাই রিশান ফরাজী এখনো পলাতক।

গো নিউজ২৪/এমআর

জাতীয় বিভাগের আরো খবর